সবুজ ত্রিপুরা, মেঘদূত, ২৫ মার্চ : এবারের লোকসভা নির্বাচন এক অভিনব রূপ ধারণ করেছে। প্রায় সবকটি জনমত সমীক্ষায় যে চিত্র ভেসে উঠেছে তা হলো ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় আসতে চলেছে। ফলে কিছুদিন আগেও যে মহাজোট-এর সম্ভাবনা ছিল তা আজ প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে নির্বাচন পূর্ববর্তী জোট এনডিএ ১৯৯৮ থেকে শুরু হয়। আর পরবর্তীতে ইউপিএ নাম দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ভারতের রাজনীতিতে শুরু হয়। সেই সাথে বামপন্থীরা তৃতীয় ফ্রন্ট নাম দিয়ে এক জোট তৈরী করে, যা পরবর্তীতে ইউপিএ-কেই সমর্থন করে।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে
এনডিএ জোট ছাড়া সকল জোটই প্রায় নিষ্ক্রিয়। সকল দলই তাদের নিজ নিজ সংখ্যাবৃদ্ধিতে
ব্যস্ত। যেখানে এনডিএ ৩৫০ লক্ষ্য নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে সেখানে অন্যান্য দল নিজেদের
রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা রক্ষার্থে লড়াই করছে। আর এই আশায় যদি এনডিএ ২৭২ ম্যাজিক
ফিগারে না পৌঁছোতে পারে, তবে সেই সময় তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
দাঁড়াবে। আর সেই জন্যই সকল দলই কংগ্রেসের সাথে দূরত্ব বজায় রাখছে। বলতে গেলে
প্রতিটি দলই কোন না কোন সময় বিজেপির সাথে বা এনডিএ জোটের সাথে ছিল।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর
থেকেই রাষ্ট্রবাদ এবারের নির্বাচনে এক বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের
ইস্যু এবার চিরাচরিত বিষয় থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হলো “হ্যাঁ
মোদী” বা “না মোদী”। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এখন একটাই বিষয়বস্তু “মোদী”। এমনকি দল
বিজেপি, দলের বদলে নরেন্দ্র মদির নামেই বেশী ভোট চাইছে। এখন একটাই দেখার বিষয়
জনতার মন কে কতটা টানতে পারেন। যা আগাম আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভারতীয়
রাজনীতিতে এবারের নির্বাচন এক নতুন দিক নিতে যাচ্ছে এবং যা আগামী দিনে ভারতের
প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নতুনভাবে চন্তাভাবনা শুরু করতে বাধ্য করবে। ভারতীয় জনতা
পার্টি ছাড়া অন্য সবকটি দলের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের
এক পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এবারের নির্বাচনে কাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ