সবুজ ত্রিপুরা,
পানিসাগর প্রতিনিধি, ২০ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে এসে প্রবেশ করল মহিন্দ্রা
এন্ড মহিন্দ্রা কোম্পানির সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তৈরী পরিবেশ বান্ধব ত্রি-চক্র
যান। যার নাম ইলেকট্রিক ট্রিও। দেখতে সুন্দর এবং মজবুত এই যানটি অন্যান্য কোম্পানির
চাইতে অনেক বেশি টেকসই হবে বলে অনুমান।
পাওয়ার ব্রেক এবং শক্তিশালী ব্যাটারি
চালিত অটোরিক্সা অন্যান্য অটোরিক্সার চাইতে অনেক বেশি স্পিডে চলতে পারে। প্রতি ঘন্টায়
৬৫ কিমি গতিতে চলে এই যানটি। ত্রিপুরাতে প্রবেশকালে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পানিসাগর
এলাকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে জানা যায় যে, অটো রিক্সা
গুলোকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমের গৌহাটি থেকে আগরতলাস্থিত মহিন্দ্রা কোম্পানির শোরুমে
নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরীক্ষামূলকভাবেমোট দশটি রিক্সাকে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
চালকেরা জানান যে হরিদ্বারে তৈরি এই রিক্সাগুলো
গৌহাটিতে এনে গোডাউনে রাখা হয় এবং সেখান থেকে ত্রিপুরাতে প্রবেশ করানো হয়। পরিবেশ
বান্ধব এই রিক্সাগুলি সম্পূর্ণ্রূপে দূষণমুক্ত।
আধুনিক মানের রিক্সা গুলি এিপুরাতে
প্রবেশ করায় তথ্য বিজ্ঞ মহল মনে কেরন যে, ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা ই-রিক্সা তথা
(টুকটুক)সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ত্রিপুরার অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে ব্যাহত করেছে। বিশেষ
করে বর্তমানে টুকটুক গুলিকে পরিবহন দপ্তরের আয়ত্ত্বাধীন করলেও বীমাকরণের ক্ষেত্রে রিক্সার
কোন বীমা করতে দেওয়া হয় না। কারণ রিক্সাগুলি সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে এবং কর ফাঁকি দিয়ে
ত্রিপুরাতে আনা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মূলত প্রতিবেশী দেশ চীনে তৈরি। তবে বেকার সমস্যা
সমাধানের ক্ষেত্রে এই রিক্সাগুলির অবদান অপরিসীম। মহিন্দ্রা কোম্পানির এই রিক্সা গুলি
বর্তমান প্রজন্মের বেকারত্বকে অনেকটা কমিয়ে আনবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুরক্ষায়
সফল ভূমিকা পালন করবে এই রিক্সা।
0 মন্তব্যসমূহ